পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে মহান রাব্বুল আলামীনের খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি হিসেবে। তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে প্রথম শর্ত তাঁকে জানা, তাঁর মহিমা, একত্ববাদ ও সীমাহীন ক্ষমতার বলয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা। আর এজন্যে প্রয়োজন শিক্ষার। শিক্ষা ছাড়া মানুষ যেমন নিজেকে জানতে পারেনা, তেমনি পারে না তার রবকে চিনতে। শিক্ষার দ্বারা মানুষ আলোকিত হয়, সত্য সুন্দরের পথ প্রাপ্ত হয়, শাশ্বত মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়। মানব জীবনে শিক্ষার এই অপরিহার্যতাকে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্মরণীয় বাণী থেকে: ‘বিদ্বানের কলমের কালি, শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান’। কিংবা ‘মুসলিম নর-নারী প্রত্যেকের ওপর জ্ঞান অর্জন অবশ্য কর্তব্য’। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম নির্দেশই ছিল ‘ইকরা’ অর্থ্যাৎ ‘পড়’, (পড় তোমার প্রভুর নামে। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন) এই নির্দেশের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সরাসরি মানুষকে শিক্ষা অর্জন করতে বললেন। যে শিক্ষা উপকারী, কল্যাণময়, সত্য সুন্দরের পথে চলার সহায়ক; মূলত সেই শিক্ষা অর্জনের তাগিদ দেয়া হয়েছে কোরআন ও হাদীসে। ইবলিশ যাকে আমরা শয়তান বলে ডাকি, তার শিক্ষা তাকে বিপদগামী করেছে, বিভ্রান্ত করেছে। তার সারা জীবনের অর্জিত জ্ঞান-প্রজ্ঞা কোন কাজে আসল না। আবু জাহেলকে আরবের মানুষেরা আবুল হাকাম (অর্থাৎ বিজ্ঞদের পিতা) বলে জানতো। কিন্তু ওহী লদ্ধ জ্ঞান না থাকায় বা এ জ্ঞানকে ধারণ করার মানসিকতা না থাকায় ইসলাম পরবর্তী যুগে আবুল হাকামে সম্বোধিত হল আবু জাহেল বলে। অপরদিকে হযরত আদম (আঃ) কে শ্রেষ্ঠত্ব সাব্যস্ত করার জন্যে আল্লাহ তাঁতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। উম্মী নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে জিব্রাইলের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। যেন তিনি বিভ্রান্ত জাতিকে সত্য পথের দিশা দিতে পারেন। অতএব শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মানুষকে বলা হয় ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব। এই শ্রেষ্ঠত্ব একমাত্র জ্ঞানের মাধ্যমে, শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়। শিক্ষাকে প্রধানত দু’ভাগে বিশ্লেষিত করা যায়। প্রথমতঃ বৈষয়িক শিক্ষা, দ্বিতীয়তঃ নৈতিক তথা ইসলামী শিক্ষা। বৈষয়িক শিক্ষা মানুষকে কেবল ভোগ পিয়াসী করে তোলে, আখেরাত সম্পর্কে ঔদাসীন্য করে পার্থিব জীবনকে মোহনীয় করে তোলে এবং ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার দিকে সর্বোতভাবে প্ররোচিত করে। অপর দিকে নৈতিক তথা ইসলামী শিক্ষার মৌল চেতনা হচ্ছে আখেরাতমুখী, পরকালের জবাবদিহীর চেতনা সম্পন্ন। ইসলামী শিক্ষা মানুষকে ভোগ পিপাসু না করে ত্যাগী বানায়, পার্থিব জীবনই মুখ্য এবং শেষ নয় বরং মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন অপেক্ষমান - এই বোধ জাগ্রত করে। ইসলামী শিক্ষা একজন মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কর্মনিষ্ঠ, সময় সচেতন, আতœনির্ভরশীল ও আতœবিশ্বাসী হতে অনুপ্রাণিত করে ইসলামী শিক্ষা। ইসলামী শিক্ষা মানে সমন্বিত শিক্ষা- কোরান হাদিসের পাশাপাশি বৈষয়িক ও প্রয়োজনীয় জ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষা। যার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাত সবখানে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে মহান রাব্বুল আলামীনের খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি হিসেবে। তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে প্রথম শর্ত তাঁকে জানা, তাঁর মহিমা, একত্ববাদ ও সীমাহীন ক্ষমতার বলয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা। আর এজন্যে প্রয়োজন শিক্ষার। শিক্ষা ছাড়া মানুষ যেমন নিজেকে জানতে পারেনা, তেমনি পারে না তার রবকে চিনতে। শিক্ষার দ্বারা মানুষ আলোকিত হয়, সত্য সুন্দরের পথ প্রাপ্ত হয়, শাশ্বত মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়। মানব জীবনে শিক্ষার এই অপরিহার্যতাকে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্মরণীয় বাণী থেকে: ‘বিদ্বানের কলমের কালি, শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান’। কিংবা ‘মুসলিম নর-নারী প্রত্যেকের ওপর জ্ঞান অর্জন অবশ্য কর্তব্য’। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম নির্দেশই ছিল ‘ইকরা’ অর্থ্যাৎ ‘পড়’, (পড় তোমার প্রভুর নামে। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন) এই নির্দেশের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সরাসরি মানুষকে শিক্ষা অর্জন করতে বললেন। যে শিক্ষা উপকারী, কল্যাণময়, সত্য সুন্দরের পথে চলার সহায়ক; মূলত সেই শিক্ষা অর্জনের তাগিদ দেয়া হয়েছে কোরআন ও হাদীসে। ইবলিশ যাকে আমরা শয়তান বলে ডাকি, তার শিক্ষা তাকে বিপদগামী করেছে, বিভ্রান্ত করেছে। তার সারা জীবনের অর্জিত জ্ঞান-প্রজ্ঞা কোন কাজে আসল না। আবু জাহেলকে আরবের মানুষেরা আবুল হাকাম (অর্থাৎ বিজ্ঞদের পিতা) বলে জানতো। কিন্তু ওহী লদ্ধ জ্ঞান না থাকায় বা এ জ্ঞানকে ধারণ করার মানসিকতা না থাকায় ইসলাম পরবর্তী যুগে আবুল হাকামে সম্বোধিত হল আবু জাহেল বলে। অপরদিকে হযরত আদম (আঃ) কে শ্রেষ্ঠত্ব সাব্যস্ত করার জন্যে আল্লাহ তাঁতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। উম্মী নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে জিব্রাইলের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। যেন তিনি বিভ্রান্ত জাতিকে সত্য পথের দিশা দিতে পারেন। অতএব শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মানুষকে বলা হয় ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব। এই শ্রেষ্ঠত্ব একমাত্র জ্ঞানের মাধ্যমে, শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়। শিক্ষাকে প্রধানত দু’ভাগে বিশ্লেষিত করা যায়। প্রথমতঃ বৈষয়িক শিক্ষা, দ্বিতীয়তঃ নৈতিক তথা ইসলামী শিক্ষা। বৈষয়িক শিক্ষা মানুষকে কেবল ভোগ পিয়াসী করে তোলে, আখেরাত সম্পর্কে ঔদাসীন্য করে পার্থিব জীবনকে মোহনীয় করে তোলে এবং ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার দিকে সর্বোতভাবে প্ররোচিত করে। অপর দিকে নৈতিক তথা ইসলামী শিক্ষার মৌল চেতনা হচ্ছে আখেরাতমুখী, পরকালের জবাবদিহীর চেতনা সম্পন্ন। ইসলামী শিক্ষা মানুষকে ভোগ পিপাসু না করে ত্যাগী বানায়, পার্থিব জীবনই মুখ্য এবং শেষ নয় বরং মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন অপেক্ষমান - এই বোধ জাগ্রত করে। ইসলামী শিক্ষা একজন মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কর্মনিষ্ঠ, সময় সচেতন, আতœনির্ভরশীল ও আতœবিশ্বাসী হতে অনুপ্রাণিত করে ইসলামী শিক্ষা। ইসলামী শিক্ষা মানে সমন্বিত শিক্ষা- কোরান হাদিসের পাশাপাশি বৈষয়িক ও প্রয়োজনীয় জ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষা। যার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাত সবখানে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।